নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সমন্বয়কদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে কুমিল্লায় বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার অনুসারী মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কঠোর অবস্থানের কারণে মাঠ গরম করতে পারছেনা আন্দোলনকারীরা ।
রাজপথ দখলে রয়েছে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপির অনুসারী নেতাকর্মীদের দখলে।
গতকাল শুক্রবার (২ আগষ্ট) নগরীর ঝাউতলা কেন্দ্রীয় মসজিদে (ছাতা মসজিদ) জুমা নামাজ শেষে ছাত্র জনতার ব্যানারে আন্দোলনকারী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় মসজিদের সামনে কান্দিরপাড়মুখি সড়কে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা । আন্দোলনকারীরা বাঁধার মুখে কান্দিরপাড় যেতে না পেরে ঝটিকা মিছিল করে রেসকোর্স এলাকায় ফ্লাইওভারের পূর্ব প্রান্তে নিশা টাওয়ারের সামনে গিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ দাওয়া করতে পারে এমন আশংকায় তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন বলে জানান।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এ কর্মসূচিতে সাধারণ ছাত্রদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক ভাবে কম। মিছিলে ছাত্রদল- যুবদল ও ছাত্র শিবির এমনকি বিএনপি নেতা-কর্মীদেরও সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার নেতারা আগেই ঘোষণা দিয়েছিল শুক্রবার বাদ জুমা ছাত্র জনতা মিলে নগরীর ঝাউতলা ও টমসন ব্রীজ এলাকায় দোয়া ও গণ মিছিল করবে। টমসন ব্রীজ এলাকায় কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি আন্দোলনকারীরা।
অপরদিকে, আন্দোলনকারীদের সাথে বিএনপি,জামায়াত- শিবিরের কর্মীরা মিলে নাশকতা করতে পারে এমন খবরে অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ লাইন এলাকায় জর হয় মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী। পরে আন্দোলনকারীরা চলে যাওয়ায় তারা মিছিল করে কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয়ে চলে যায়।
জানা যায়, নগরীতে যেন কোন অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি না করতে পারে সেই লক্ষ্যে শুক্রবার বেলা ১২ টা থেকে নগরীর কান্দির পাড়, নজরুল এভিনিউ, টমসন ব্রীজ, হালুয়াপাড়া, ঝাউতলা, ফৌজদারি সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন। জুমার নামাজের টমসন ব্রীজ ইপিজেড সড়ক, কান্দিরপাড় পুলিশ লাইন সড়কে মিছিল করে।
মহানগর আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মিছিলের নেতৃত্ব দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এড জহিরুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড সৈয়দ নূরুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু, চিত্ত রঞ্জন ভৌমিক, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মো আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিল সরকার মাহমুদ জাভেদ, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এনামুল হক এনাম,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তারিকুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহাম্মদ নিয়াজ পাবেল, মহানগর শ্রমিক লীগের আহবায়ক আনিসুর রহমান ভূইয়া, মহানগর কৃষক লীগের আহবায়ক খোরশেদ আলম, যুগ্ম আহবায়ক সোহেল হায়দার, মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণত সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, মহানগর আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক সালেহ আহাম্মদ রাসেল, মহানগর যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম শাওন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খোকন বলেন, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের উপর ভর করে বিএনপি জামায়াত- শিবির চক্র নাশকতার চেষ্টা করছে। কুমিল্লায় তাদের অপচেষ্টা রুখতে জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপির নির্দেশপ আমরা মাঠে রয়েছি। মিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, জনগণ যেন নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্যই আমরা কুমিল্লায় সতর্ক প্রহরায় রয়েছি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page